Trees are the source of our life. Trees not only save the environment, but they also save our lives. There are no vacancies in the city. But there is a huge huge roof. This is the roof we can green. Just need our mentality.
পুদিনা পাতা সাধারণতঃ তরি-তরকারির সাথে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রকমের বড়া তৈরির কাজে পুদিনা পাতার অবদান রয়েছে । বিশেষ করে রমজান মাসে বাড়ি কিংবা ইফতারের দোকানগুলোতে ব্যাপকভাবে পুদিনা পাতা ব্যবহার হয়ে থাকে ।
পুদিনার চাষ পদ্ধতি জানতে ক্লিক করুন- ছাদে পুদিনার চাষ পদ্ধতি ।
করলা সাধারনত গ্রীষ্মকালীন সবজি । তবে সারা বছর ধরেই এর চাষ করা যায় । শীর্ষ স্থানীয় সবজিসমুহের মধ্যে করলা অন্যতম । উচ্ছে ও করলা তিতা বলে অনেকেই খেতে পছন্দ করেন না। তবে এর ঔষধিগুণ অনেক বেশি । ডায়াবেটিস, চর্মরোগ এর জন্য করলা একটি ভাল সবজি । উচ্ছে ও করলা এ দেশের প্রায় সব জেলাতেই চাষ হয়। অপেক্ষাকৃত ছোট, গোলাকার এবং তিতা বেশিগুলোকে বলা হয় উচ্ছে । আর একটু বেশি লম্বা ও কিছুটা কম তিতাযুক্ত সবজি বলা হয় করলা। ছাদেও খুব সহজেই করলা চাষ করা সম্ভব।
ছাদ বাগানে করলা চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন – ছাদে করলার চাষ পদ্ধতি।
বেগুন সাধারনত শীতকালের সবজি । তবে সারা বছর ধরেই এর চাষ করা যায় । শীর্ষ স্থানীয় সবজিসমুহের মধ্যে বেগুন অন্যতম । বাংলাদেশের ব্যপক জনসাধারণ বেগুন খেতে পছন্দ করে । সবজি উৎপাদনের দিক দিয়েও বেগুন বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান সবজি। বাজারে বেগুন দুই রঙের দেখা যায় । সাদা এবং বেগুনী । তবে বেগুনী রঙের বেগুন খেতে বেশি সুস্বাদু । ছাদে সহজেই বেগুন চাষ করা যায়। তবে যেহেতু বেগুনে রোগবালাই এবং পোকার আক্রমন বেশী তাই বেগুন চাষে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় ।
ছাদে বেগুনের চাষ পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন – ছাদে বেগুনের চাষ পদ্ধতি ।
টমেটো সারা বিশ্বেই সবজি এবং সালাদ হিসাবে সমাদৃত । বাংলাদেশেও ব্যাপকভাবে টমেটোর চাষ হয়ে থাকে । তুলনামূলক ভাবে টমেটোর দামও অন্যান্য সবজির চেয়ে বেশী থাকে । টমেটো মূলতঃ শীতকালীন সবজি হলেও বর্তমানে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালেও এর চাষাবাদ শুরু হয়েছে । গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে এর দামও থাকে অনেক বেশি । অতি অল্প পরিশ্রমে ছাদেও এর চাষ সম্ভব । তাতে অন্ততঃ নিজের চাহিদা মিটানো যায় ।
ছাদে টমেটো চাষ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- ছাদে টমেটোর চাষ।
আপনি নতুন বাগান শুরু করবেন। কিন্তু বুঝতে পারছেন না কিভাবে কি করবেন । তাই মাঝে মাঝে চিন্তা করেও আবার বাদ দেন। বাজারে এ বিষয়ে লেখা অনেক বই পাওয়া যায় । এইসব বই পরেও বুঝা যায় না কোন জায়গা থেকে শুরু করবেন । সব বিষয় যেন এলো মেলো মনে হয়। তাই হয়তো সাহস পান না বাগান করার । আমিও প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম । কিন্তু শুরু করে দেখলাম আসলে খুব সহজ কাজ । তাই আর দেরী কেন শুরু করে দিন এখনই । ছাদে বাগান করার সময় লক্ষ রাখতে হবে যেন গাছটি বড় আকারের না হয়. অর্থাৎ ছোট আকারের জাতের গাছ লাগাতে হবে এবং গাছে যেন বেশি ফল ধরে সে জন্য হাইব্রিড জাতের ফলদ গাছ লাগানো যেতে পারে।
ফলের বাগানঃ ফলের চারা দিয়েই শুরু করুণ আপনার ছাদে বাগান। তবে যে কোন ফল নয়। কারণ প্রথমেই যদি জটিল গাছ চয়েজ করেন কয়দিন পর হাল ছেড়ে দিবেন । কাজেই শুরু করুণ লেবু, পেয়ারা, থাই কামরাংগা, করমচা, আপেল কূল, বাউ কূল, ডালিম, আংগুর, আম্রপালি ও মলি্লকা জাতের আম, জলপাই, করমচা, শরিফা, আতা, আমড়া কিংবা ছোট জাতের কলা। তবে চারার ব্যাপারটা নিশ্চিত হউন যেন সেটি কলমের হয় । কলমের চারা না হয়ে বীজের চারা হলে দীর্ঘ দিন কষ্টের পর হতাশা বৈ কিছুই পাওয়া যাবে না । সেই সাথে আরেকটি জিনিস খুব প্রয়োজন । তা হল জাত । ছাদে ফলের বাগানের ক্ষেত্রে এটিও একটি অন্যতম সমস্যা । হিমসাগর আমের চারা লাগানোর তিন-চার বছর পর যখন গাছে ফল ধরে বাজে কোন আম তখন কেমন লাগবে । এভাবে যদি বিশটি গাছের মধ্যে পনের – ষোলটি গাছেরই অবস্থা এমন হয় তাহলে কি আর আগ্রহ থাকে? আমার জানা মতে অনেকের অবস্থাই এমন হয়েছিল । আর এই কারণে ইতিমধ্যে অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন । কাজেই চারা কিনার পূর্বে ভাল ভাবে যাচাই করতে হবে এটি কাংখিত গাছের চারা কিনা । উল্লেখিত দুটি বিষয় নিশ্চিত হয়ে যদি বাগান করা যায় তবে একবছরের মধ্যেই ভাল রেজাল্ট পাবেন । ছাদ বাগানের জন্য ভাল জাতের কলমের চারা সংগ্রহ করতে পারলে ভালো হয় । সঠিক মানের চারা হলে এক/দুই বছরের মধ্যেই ফল আসে। আজকাল বিদেশ থেকে উন্নত মানের কিছু চারা কলম দেশে আসছে ছাদ বাগানের শখ পূরণ করার জন্য এসব সংগ্রহ করে লাগাতে পারেন। ছাদে এসব গাছ লাগানো হলে ছাদ বাগানের সৌন্দার্যও বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
ছাদ বাগানে যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়ঃ ছাদে বাগান করার বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় । প্রয়োজন অনুসারে সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরানোর দরকার হলে টব পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। বেশিরভাগ রুফ গার্ডেনার টবে গাছ লাগানো পদ্ধতিই ফলো করে থাকেন । টবের গাছ যত্ন-আত্বি করাও খুব সহজ। ছোট টব বিধায় ব্যালকনিতেও রাখা যায় । মাটির টবের পাশাপাশি আজকাল অনেকেই প্লাস্টিকের টবও ব্যবহার করেন। যদিও মাটির টবেই ফলন ভাল হয়ে থাকে ।
বড় আকারের ড্রামের মাঝামাঝি কেটে দুই টুকরো করে বড় দুটি টব তৈরি করা যায়। বড় জাতের এবং ফলের গাছের জন্য হাফ ড্রাম ভালো । তবে যখন-তখন ড্রাম স্থানান্তর করা যায় না । এগুলো সরাসরি ছাদের ওপর না বসিয়ে কয়েকটি ইটের ওপর বসানো দরকার হয় । তাতে ছাদের কোন ক্ষতি হয় না ।
ছাদে দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু এবং তিন থেকে চারটি পিলারের ওপর পানির ট্যাঙ্ক বা চৌবাচ্চা আকারের রিং স্লাব বসিয়ে ইটের টুকরো এবং সিমেন্টের ঢালাই দিয়ে স্থায়ী চৌবাচ্চা তৈরি করা হয় । এই ধরনের চৌবাচ্চায় ইদানীং গনেক বাগানী মাছ এবং জলজ উদ্ভিদ চাষ করে থাকেন । তাতে ছাদের পরিবেশ খুব সুন্দর রাখা যায়।
এছাড়াও অনেকেই ছাদের কোনো অংশে স্থায়ী বেড তৈরী করে ছাদ বাগান করে থাকেন । এক্ষেত্রে বেডের দৈর্ঘ্য তিন থেকে চার ফুট , প্রস্থ তিন থেকে চার ফুট এবং উচ্চতা দেড় থেকে দুই ফুট হলে ভাল হয় ।
ফুল কিংবা ফল গাছ যাই হোক না কেন, গাছের আকার অনুযায়ী টবের সাইজ নির্ধারণ করতে হবে । টবের নিচে চার/পাঁচটি ছিদ্র থাকতে হবে যেন অতিরিক্ত পানি জমে না থকে । ছিদ্রের উপর কয়েকটি ইটের টুকরা দিতে হবে ।